ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত-আহত শ্রমিকসহ সকলের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশে সেতু হয়েছে। এই পদ্মাসেতু-ই দেশের একমাত্র সমস্যা নয়। আরো বহু সমস্যা আছে। এই পদ্মাসেতু আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দেয় না, গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মানুষ মরা বন্ধ করে না। রিজার্ভের সাড়ে ছয়’শ কোটি টাকা লুটপাটের বিচার হয়নি। ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তা ফেরত আনা হয়নি, শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা নাই-এর কোনো সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এসব সমস্যার সমাধান হবে না। যত কঠিন ও কঠোর হওয়া যায়, আমাদের হতে হবে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই পদ্মসেতুতে কোন কোন সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে তা জানার অধিকার মানুষের আছে। এটা কেন আমরা জানতে পারব না ?
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, শ্রমিক সংগঠনগুলো সীতাকুণ্ডে গিয়ে সরেজমিনে নিখুঁতভাবে দেখেন সেখানে কার কতটুকু অবহেলা ছিল। এই বিষয়গুলো জনসম্মুখে আনেন। শ্রমিকরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নিশ্চয়ই জনগণ শ্রমিকদের দাবির পাশে দাঁড়াবে। খন্ড খন্ড দাবি নিয়ে এই সরকারের কাছ থেকে কোনো দাবি আদায় করা যাবে না।
তিনি বলেন, গত রোববার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, আবার তেলের দাম বাড়াবে। গ্যাসের দাম বাড়ালে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ে এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আবার আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট আসছে। দুর্নীতি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্য করা হয়েছে। এ জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, আবার তেলের দাম বাড়াবে। এতে করে মানুষের ভোগ্যপণ্য শূন্য হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের উপদেষ্টা আবুল খায়ের খাজা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজুল করিম মজুমদার, অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলমসহ শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :