নিজের সুখের আবাস সাজাতে কার না ভালো লাগে! সবাই সাজাতে চান পরিপাটি ভাবে। কিন্তু বাজেটের কথা ভেবে তা আর হয়ে ওঠে না। জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে কূল মেলে না। শৌখিন তৈজসপত্র তো দূরের বিষয়। স্বল্প বাজেটেও চাইলে ঘরের চেহারা বদলানো যায়। আনা যায় নতুনত্ব। ভাবছেন কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ট্রিকস—
ইনডোর প্ল্যান্ট
ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং ঘরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে ইনডোর প্ল্যান্ট। এ ছাড়া ঘরে গাছ থাকলে বাতাস থাকে বিশুদ্ধ। অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় মেজাজ থাকে ঠান্ডা। ছোট কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট কিনুন। জানালার কিনারা, রুমের কোণা, পড়ার টেবিল, রুমের শেলফ ইত্যাদি জায়গায় গাছ রাখতে পারেন। ঘরে জায়গা কম হলে ঝুলন্ত গাছও লাগাতে পারেন।
ওয়াল আর্ট
ঘরের লুক পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে দেয়াল। ওয়াল আর্ট করাতে বেশ খরচ লাগে। এই কাজটি নিজেই করতে পারেন। অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট, ক্যানভাস পেইন্টিং, হাতে আঁকা ক্যানভাস ইত্যাদি দিয়ে দেয়াল সাজান। বসার ঘর আর স্টাডি রুমের লুক বদলে দেবে এগুলো। সঙ্গে নিজের স্পর্শ থাকায় অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে।
কাঠের শিল্প বর্তমানে বাজারে কাঠের তৈরি হরেকরকম তৈজসপত্র পাওয়া যায়। এগুলো তুলনামূলক কম দামে মেলে। কাঠের ফটো ফ্রেম, কলম স্ট্যান্ড, টেবিল ঘড়ি, দেয়াল সজ্জা ইত্যাদি দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন।
পর্দা ঘরের দেয়ালের জন্য হালকা রঙের পর্দা বেছে নিন। দেয়াল আর পর্দার রঙ কাছাকাছি রাখতে পারেন। বাজেট স্বল্পতা থাকলে নেট পর্দা হতে পারে আপনার জন্য সেরা বিকল্প।
চাদরের রং পর্দা এর দেয়ালের মতো বিছানার চাদরের রং নির্বাচনও ঘরের লুকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রঙের চাদরে ঘর সাজান। এতে ঘর আলোকিত লাগবে। বড়ও মনে হবে। গাঢ় রঙের চাদরে ঘর ছোট দেখায়। বিছানার চাদর বা তার অনুরূপ বালিশের কভার রাখুন।
ফেয়ারি লাইট ছোটবেলায় বিয়ে বাড়িতে যে মরিচ বাতি দেখে বড় হয়েছি সেটিই এখন অনেকে ঘরের সাজসজ্জায় ব্যবহার করেন। দামে কম এই লাইট দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর। এটি সৃজনশীল লুক তৈরি করে। ঘরের দেয়াল, আয়নার চারপাশ কিংবা বুক শেলফে জড়িয়ে রাখতে পারেন সোনালি, রূপালি বা রঙিন ফেয়ারি লাইট।
আয়না একটি আয়না পুরো ঘরের চেহারা বদলে দিতে সক্ষম। এখন ড্রেসিং টেবিলের চাইতে দেয়ালে ঝুলানো আয়না বেশি চলছে। মাটি, কাঠ বা কেবল ফ্রেম করা বড় আয়না দিয়ে সাজাতে পারেন দেয়াল।
বইয়ের তাক বুক শেলফ বলতে একসময় আমরা কেবল টেবিল বা তাক বুঝতাম। শোকেসের মতো দেখতে শেলফের স্তরে স্তরে সাজানো থাকতো এসব বই। কিন্তু এখন আর তেমন শেলফের চল নেই। বাজারে মিলছে নিত্যনতুন সব ডিজাইনের বাহারি বুক শেলফ। এসব শেলফে রুচিশীলতার পরিচয় দেয়। তাই এমন একটি শেলফ কিনতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :