পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে নতুন চুক্তিতে চীন-রাশিয়া


মুক্তির আলো প্রকাশের সময় : ২৫/০৫/২০২৩, ৪:০৯ অপরাহ্ন
পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে নতুন চুক্তিতে চীন-রাশিয়া

পশ্চিমা বিশ্বের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে এবার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করলো চীন ও রাশিয়া। বুধবার (২৪ মে) চীন সফররত রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সফরকালে এ চুক্তি সই হয়। এর মধ্য দিয়ে মস্কো-বেইজিংয়ের পারস্পরিক বাণিজ্যিক বিনিয়োগ ছাড়াও কৃষি পণ্য রফতানি এবং অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বাড়বে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে দেশটি। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বরাবরই রাশিয়ার পাশে রয়েছে চীন।
 
তবে মস্কো বেইজিংয়ের এ সম্পর্ক মোটেও ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমারা। কিন্তু পশ্চিমা চাপ অগ্রাহ্য করেই এসবের মধ্যেই রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের বেইজিং সফরে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই করলো দেশ দুটি। বুধবার দুই দেশের মধ্যে এ সহযোগিতা বৃদ্ধির চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী মস্কো বেইজিংয়র মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যিক বিনিয়োগ, কৃষি পণ্য রফতানি ছাড়াও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো বেইজিং সফরে যান রুশ প্রধানমন্ত্রী মিশুস্তিন। সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এসময় যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই এই চুক্তি বলেও জানান রুশ প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও পশ্চিমাদের চাপ মোকাবিলায় এ চুক্তি সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
 
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পশ্চিমারা যতই নিষেধাজ্ঞা দিক, বন্ধু রাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে মিলে লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো আমরা।’
 
উল্লেখ্য, সোমবার প্রধানমন্ত্রী সাংহাইতে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে চীনে নিয়োজিত মস্কোর রাষ্ট্রদূত ইগর মরগুলভ এবং রাশিয়ায় বেইজিংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক ঝাং হানহুই স্বাগত জানায়। সম্প্রতি জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের ইস্যুতে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনার পরপরই বেইজিং সফরে গেলেন রুশ প্রধানমন্ত্রী।