শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা আফগানিস্তানের


মুক্তির আলো প্রকাশের সময় : ০৩/০৬/২০২৩, ৩:৫৭ অপরাহ্ন
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা আফগানিস্তানের

বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী ১০ জুন ঢাকায় পা রাখবে আফগানিস্তান। এর আগে, শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে আফগানরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় চমকে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের বার্তাই দিয়ে রাখলো রশিদ-নবিরা। এ ম্যাচে ১৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে হাসমতউল্লাহ শহিদির দল।

হাম্বানটোটায় টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। এরপর নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের ৯৮ রানে ৪৬ দশমিক ৫ ওভারেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।

ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের মাত্র ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দলীয় ৮৪ রানেই বিদায় নেয় টপ-অর্ডারের চার ব্যাটার। লঙ্কানদের বিপদে ফেলে অভিজ্ঞ রশিদের অভাবটা খুব বেশি বুঝতে দেননি আফগান বোলাররা। নতুন বলে মূল কাজটা সেরেছেন পেসার ফজল হক ফারুকি। তুলে নেন ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও টপ-অর্ডারের কুশল মেন্ডিসের উইকেট।

এরপর ধুঁকতে থাকা লঙ্কানদের টেনে তোলার কাজটা সারেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিত আসালঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়েন মিডল-অর্ডারের এ দুই ব্যাটার। তবে ব্যক্তিগত ৫১ রানে ধনঞ্জয়া ফিরলে আর কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক দাসুন শানাকার ১৭ ও আসালঙ্কার ৯১ রানের সুবাদে ২৬৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লঙ্কানরা।

আফগানদের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও ফরিদ আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন অন্য বোলাররা।

লঙ্কানদের মাঝারি পুঁজির লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানেই ফিরে যান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এ ওপেনার ফিরলেও রান তাড়ায় কখনই মনে হয়নি, ম্যাচ থেকে দূরে রয়েছে আফগানিস্তান। তিনে নামা রহমত শাহকে নিয়ে ১৪৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন ওপেনার ইব্রাহিম। মূলত এ জুটিতেই জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে যায় আফগান দল।

টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে থাকা ইব্রাহিম আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিনে। কাসুন রাজিথার বলে ডিপ মিড উইকেটে ব্যক্তিগত ৯৮ রানে ধরা পড়েন তিনি। এরপর অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ ৩৮ ও নবির ২৭ রানে সহজ জয় নিশ্চিত করে আফগান দল।

লঙ্কানদের হয়ে রাজিথা দুটি, লাহিরু কুমারা ও মাথিশা পাথিরানা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।