সিনেমাতে কাজ করা মাটি কাটার মতোই পরিশ্রমের : অধরা


মুক্তির আলো প্রকাশের সময় : ০৩/০৬/২০২৩, ৪:২৯ অপরাহ্ন
সিনেমাতে কাজ করা মাটি কাটার মতোই পরিশ্রমের : অধরা
‘সিনেমাতে কাজ করা এত বেশি পরিশ্রম, ঠিক মাটি কাটলে মানুষের যে রকম পরিশ্রম হয়, সিনেমার কাজটাও কিন্তু সে রকম। সকাল ৬টায় যদি শুটিং কল থাকে, তাহলে আমাদের উঠতে হয় ভোর ৪টায়। আমরা চাইলেও ৯টা-৫টা পর্যন্ত কাজ করতে পারি না। টানা ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়।

কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়িকা অধরা খান। বৃহস্পতিবার সৈকত নাসির পরিচালিত সিনেমা ‘সুলতানপুর’ ছবিটির প্রিমিয়ার শো ছিল। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ শুক্রবার দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।

‘সুলতানপুর’ ছবিটির নাম ছিল ‘বর্ডার’। আপত্তির মুখে ছবিটির নাম বদলাতে বাধ্য হন নির্মাতা। ২০২০ সালের অক্টোবরে হয়েছে ছবির শুটিং। সে সময় করোনার কারণে ছিল নানা অনিশ্চয়তা।
এ রকম কঠিন সময়ে কিভাবে সিনেমার শুটিং করেছেন, ছবিটি মুক্তির দিনে সে অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন অধরা।নায়িকা বলেন, ‘তখন সারা বিশ্ব করোনার কারণে প্রায় অচল। মানুষ ভয়ে বাসা থেকেই বের হচ্ছিল না। সেই সময়ে এই ছবির কাজ করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ করোনার মধ্যে এ রকম একটা ক্রাউডেড ফিল্ম করা সহজ কথা ছিল না।

সব কিছু অ্যারেঞ্জ করে কাজটি করতে হয়েছে। সেই সময়ে দিনে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টার মতো শুটিং করেছি। করোনার কারণে আমাদের খুব তাড়াহুড়া ছিল। সবার তাড়া ছিল, কম সময়ের ভেতরে যেভাবেই হোক কাজটি শেষ করতে হবে!’সুলতানপুর মুক্তির দিনে নায়িকা বলেন, ‘কষ্ট করলে যে সেটার ফল পাওয়া যায়, সুলতানপুর তার বড় উদাহরণ। প্রথম দিনে মানুষের রিয়েকশনে অন্তত এমনটাই হলো।’

এ ছবিতে সমাজকর্মীর চরিত্রে দেখা যাবে অধরাকে। গল্পে তার বাবা এলাকার পরোপকারী মানুষ। বাবার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অধরাও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, আর তাতেই অনেকের চক্ষুশূল হয়।